কাঠে ভাস্কর্য করার আনন্দই আলাদা। শান্তিনিকেতনে গাছপালা বেশি, তাই কারভিং-এর উপযোগী পর্যাপ্ত কাঠ এখানে পাওয়া যায়। ছেলেবেলা থেকেই ছুতোরদের কাজ দেখতাম। শান্তিনিকেতন মেলায় নতুনগ্রামের দারুশিল্পীদের কাঠের কাজ করতে দেখতাম, মেলায় সেসব বিক্রি হতো। তাদের কাজের লোকজ সারল্য ও ফ্ল্যাট বাঁটালিতে কাটা মুর্তিগুলোর সহজ তল বিন্যাস আমায় মুগ্ধ করতো। আমার অন্যতম শিক্ষাগুরু ভাস্কর অজিত চক্রবর্তীকে কাঠে কাজ করতে দেখে প্রেরণা পেতাম। তাছাড়া ইতালির প্রখ্যাত ভাস্কর মারিনো মারিনির কাঠের ভাস্কর্য আমায় আনন্দ দেয়। আফ্রিকান কাঠের ভাস্কর্যের ডৌল ও ফর্ম আমায় প্রভাবিত করে। ছেলেবেলায় গ্রামে থাকতে ধর্মরাজের সেই বিশাল কাঠের ঘোড়া আমায় খুব আকর্ষণ করতো। দোল উৎসবে কাঠের গৌড়-নিতাইয়ের রং করা মূর্তি মন দিয়ে দেখতাম। পরে দেশ- বিদেশে বিভিন্ন শিল্পীর কিছু কাঠের ভাস্কর্য দেখেছি। নিজে কাজ করার সময় এই মাধ্যমের বৈশিষ্ট্য গুলো লক্ষ্য করি, আর অনুভব করি এর ভাস্কর্য গুণ ও সম্ভাবনা।
Working with wood as a medium has a pleasure of its own. Throughout my life, I have been highly inspired by the wood sculptures of a very special teacher and Guru of mine, Artist Ajit Chakraborty. Amongst my other major sources of constant inspiration have been the famous Italian Sculptor Marino Marini, whose sculptures in wood give me tremendous joy. The forms and silhouettes of African sculptures have had a major influence on my works, personally. What drives me to the medium is its plain division, volume, and texture.