নরম মাটির প্রতি আকর্ষণ আমার ছেলেবেলা থেকেই। গ্রামের কুমারপাড়ার কালো এঁটেল মাটি আমায় টানতো। আমি মূর্তি গড়তাম সেই মাটিতে। কুম্ভকাররা মাটির হাঁড়ি কলসি বানিয়ে সেগুলো রোদে শুকিয়ে নিয়ে আগুনে পোড়াতো। আমি সেসব খুব মনদিয়ে দেখতাম। পোড়ামাটির ধারণা আমার তখন থেকেই। একবার কুম্ভকারদের এক ছেলে একটি পোড়ামাটির ছোট্ট দেবীমুখ দেখালো। পোড়ামাটির প্রতি অনুরাগ আরো বেড়ে গেল। গ্রামের সাধারণ মানুষ পোড়ামাটির ছোট ঘোড়া বানিয়ে ধর্মরাজ তলায় মানত করতো। আমিও মাটির ঘোড়া বানিয়ে একবার গ্রামের মেলায় বিক্রি করেছি। ঘুরিষা, জয়দেব ও বিষ্ণুপুর মন্দিরের টেরাকোটা ফলকের শিল্পকর্ম আমার বিশেষ আকর্ষণের ছিল, যা আজও অব্যাহত। এসব থেকে শিল্পের রসদ সংগ্রহ করি। পোড়ামাটি বা টেরাকোটার ভাস্কর্য গড়ে বিশেষ আনন্দ পাই।
I have been attracted to soft clay since my childhood. The black clay soil of the village Kumarpara drew me. I used to make idols on that ground. The potters made earthen pots and pitchers, dried them in the sun and burned them in the fire. I used to watch them very carefully. The idea of terracotta has been with me ever since. Once one of the potters’ sons showed a small terracotta Goddess face. The affection for terracotta grew more and more. The common people of the village used to make small terracotta horses and swear allegiance to Dharmaraj. I also made clay horses and sold them at the village fair once. The terracotta plaques of Ghurisha, Joydev and Bishnupur temples were my special attraction, which continues to this day. I collect industrial supplies from these. I find special pleasure in creating terracotta or terracotta sculptures.